নিজস্ব প্রতিবেদক :
সমাজের সর্বস্তরের মানুষের কাছে মসজিদের ইমাম-খতিব ও আলেম সমাজের গ্রহণযোগ্যতা প্রশ্নাতীত। ধর্মীয়, সামাজিক ও পারিবারিক অনেক বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে এদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম জনগোষ্ঠী মসজিদের ইমাম-খতিব ও আলেম সমাজের পরামর্শ ও নির্দেশনা গ্রহণ করে থাকেন। তাই সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদসহ সামাজিক নানা অপরাধ নিয়ন্ত্রণে আলেম সমাজ অপরিসীম ভূমিকা রাখতে পারেন বলেছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।
১৯ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশন অডিটোরিয়ামে ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেররিজম এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ দমন ইউনিটের সহযোগিতায় আয়োজিত ‘‘প্রিভেন্ট ভায়োলেন্ট এক্সট্রিমিজম থ্রো সিগনিফিক্যান্ট রিলিজিয়াস এনগেজমেন্ট’’ শীর্ষক কর্মশালায় ইমাম, খতিব ও বিশিষ্ট আলেমদের উদ্দেশ্যে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্বার্থে কিছু স্বার্থান্বেষী চক্র সমাজের তরুণ ও যুবসমাজকে ধর্মের নামে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের পথে পরিচালিত করে থাকে। ধর্মের পর্যাপ্ত ও সঠিক জ্ঞান না থাকাতে তারা বিভ্রান্ত হয়ে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ে। এর মাধ্যমে আমাদের পবিত্র ইসলাম ধর্মের দুর্নাম হয় এবং সমাজ, রাষ্ট্র ও মানুষের ক্ষতি সাধন হয়ে থাকে। সাধারণ নিরীহ ও নিরাপরাধ মানুষের জীবন বিপন্ন করে তোলে। তাই যুবসমাজকে ধর্মের সঠিক জ্ঞান প্রদান করে দেশপ্রেমে উজ্জীবিত করে সমাজের মূলধারায় পরিচালিত করতে ইমাম, খতিব ও আলেম সমাজকে নিয়মিতভাবে জুমার খুতবাসহ বিভিন্ন বয়ানে সচেতনতামূলক আলোচনা অব্যাহত রাখতে হবে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদি কার্যক্রম ইসলামে সম্পূর্ণ নাজায়েজ ও হারাম। মানবতার ধ্বংস সাধন করে এমন কোনো কাজ ইসলাম সমর্থন করে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতোমধ্যে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন। তাই, সমাজে ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা সঠিকভাবে তুলে ধরে তরুণ ও যুব সমাজকে সচেতন করতে ইমাম ও আলেমদেরকে আরো সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে।’
এ সময় তিনি আরো বলেন, ‘সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের সঙ্গে মাদক, বাল্যবিয়ে, নারীর প্রতি সহিংসতা, ধর্ষণসহ নানা ধরনের সামাজিক অপরাধের বিরুদ্ধে আলেম সমাজকে আরো বেশি সোচ্চার হতে হবে।’
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক আনিস মাহমুদের সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নুরুল ইসলাম পিএইচডি। মুখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য উপস্থাপন করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ দমন ইউনিটের অতিরিক্ত কমিশনার মো. মনিরুল ইসলাম প্রমুখ।