বঙ্গনিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক:
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, রাজনীতিতে ভালবাসার কোনো স্থান নেই। রাজনীতি হচ্ছে হিসেবের অংক। হিসেবের অংকে এখানে করুণা করা, ভালবাসা দেয়া, প্রেম করার কোনো সুযোগ নেই।
শুক্রবার আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের পক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিএনপি আসলে কী চায়- সেটা আমরা জানতে চাই। বিএনপি কী চায় বিএনপিও জানে না। আমাদের একটা সু-নির্দিষ্ট লক্ষ্য আছে। আমরা কী চাই সেটা বলতে আমাদের কোনো সমস্য নাই। আমরা চাই দেশের সংবিধানের যে অরবিট আছে। এই সাংবিধানিক অরবিটের মধ্যে থেকে সরকার হিসেবে রাজনৈতিক দল হিসেবে দায়িত্ব পালন করা।
বিএনপির নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের দাবির বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, নিরপেক্ষতা বলতে কী বুঝাতে চাইছে? কারা নিরপেক্ষ? নিরপেক্ষতার সংজ্ঞা বিএনপির কাছে আমি জানতে চাই। কেমন নিরপেক্ষতা? বিএনপির নিরপেক্ষতা হলো তাদের দলের লোকজন। আর বাকি সবাই হচ্ছে পক্ষপাত দুষ্ট।
তিনি বলেন, তাদের কোন কথা সঠিক? তারা একদিকে বলে নির্বাচনেও তারা যাবে, আরেক দিকে বলে আন্দোলনেরও প্রস্তুতি নিচ্ছে। তারা আসলে কোনটা চায়? তাদের কোনো বিষয়ই পরিস্কার নয়। তাদের বক্তব্য সকালে এক রকম বিকালে আরেক রকম। এক নেতা বলে এক কথা আরেক নেতা বলে আরেক রকম। কার কথা সঠিক, কোন কথা সঠিক?
নির্বাচনের আগে বিএনপির সঙ্গে সংলাপের কোনো সম্ভাবনা আছে কি না জানতে চাইলে কাদের বলেন, কোনো প্রয়োজন তো দেখছি না। গতবার তারা সেই ট্রেন মিস করেছে। গণভবনে প্রধানমন্ত্রী ডেকেছেন। বেগম জিয়ার প্রত্যাখ্যানের ভাষাটা এখনো কানে ভাসে। কি অশালীন অশ্রাব্য ভাষা সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মুখে। এটা ভাবতে লজ্জা লাগে।
তিনি বলেন, সেদিন তারা বুঝিয়ে দিয়েছে তারা সংলাপ চান না। তারা আলোচনা চান না। এখন সংলাপ চায়, এখন সংলাপের কোনো প্রয়োজন নেই।
আগামী নির্বাচনের আগে বিরোধীদের নির্বাচন বানচালের কোনো ষড়যন্ত্রের আশঙ্কা আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, আশঙ্কা তো থাকবেই। তবে এবার আমরা খুব কনফিডেন্ট। এবার গতবারের মতো জ্বালাও-পোড়াও করে কেউ পার পাবে না। আবারও বলছি কেউ যদি ২০০১ সালের রঙিন খোয়াব দেখতে চান সে রঙিন খোয়াব আর সফল হবে না।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, এনামুল হক শামীম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, দফতর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।