মোক্তার হোসেন, লোহাগাড়া:
তীব্র জনবল সংকটে ভুগছে লোহাগাড়া ট্রফিক বিভাগ। যেখানে গত কিছুদিন আগেও ৫/৬ জন লোকবল থেকেও যানযট নিয়ন্ত্রন করা কঠিন ছিল সেখানে বর্তমানে ১ জন সার্জেন্ট ও ১ জন কনস্টেবল দিয়ে চলছে উপজেলার পুরো বিভাগটি। ফলে তীব্র যানযটে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে লোহাগাড়া উপজেলার মানুষকে। অনেক সময় ঘন্টার পর ঘন্টা যানযট লেগে থাকে। লোকবল সংকটের কারণে অবৈধ যানবাহ চলাচল নিয়ন্ত্রনে হিমসিম খাচ্ছে বিভাগটি।
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক লোহাগাড়া স্টেশনের মধ্য দিয়ে যাওয়ায় প্রতিদিন অসংখ্য যানবাহনের চাপ রয়েছে এই মহাসড়কটিতে। সেই সাথে যোগ হয়েছে দরবেশ হাট ডিসি সড়ক, আমিরাবাদ স্কুল রোড,আলুরঘাট রোড এর মতো ৫ টি ব্যস্ততম সড়ক। তীব্র জনবল সংকট হওয়ায় বাড়তি যানবাহনের চাপ সামাল দিতেও লোহাগাড়ার ট্রাফিক বিভাগ হিমশিম খাচ্ছে বলেও জানাগেছে।
দুই লেনের এই মহাসড়কটিতে ট্রাফিক নজরদারির অভাবে যত্রসত্র গাড়ি পার্কিং ও নিয়মবহির্ভূতভাবে নির্বিঘ্নে যাত্রী ওঠানামা হরহামেশায় চলছে। ফলে, প্রতিদিন কারণে-অকারণে মুহুর্তের মধ্যেই সৃষ্টি হচ্ছে দীর্ঘ যানজট।যানজটের মধ্যেই সংযোগ সড়ক থেকে তিন চাকার সিএনজিচালিত ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা মহাসড়কে ওঠে আগুনে ঘি ঢালে।
ট্রাফিক বিভাগের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে স্কুলরোড়,দরবেশহাট রোড়,আলুরঘাট রোড়,কাঁচা বাজার,মা ও শিশু হাসপাতাল মোড়সহ মোট ৫টি পয়েন্টে যেখানে ৬ জন ট্রাফিক পুলিশ কনস্টেবল দরকার সেখানে বর্তমানে রয়েছে মাত্র দুইজন। অতিরিক্ত জনবল নিয়োগের আবেদন করা হলে এখনো পূরণ হয়নি। এখনো শূন্য আছে টিআই-এর মতো গুরুত্বপূর্ণ পদও।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে টিআই(প্রশাসন), চট্টগ্রাম জেলার পরিদর্শক মোঃ আরিফুর রহমান বঙ্গনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, উপজেলায় চাহিদা অনুসারে জনবল বাড়ানোর চেষ্ঠা চলছে। যতদ্রুত সম্ভব ট্রাফিক পুলিশ নিয়োগ দেওয়া হবে।
লোহাগাড়া ট্রফিক সার্জেন্ট মাহমুদ বঙ্গনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন, যানজট নিরসনে প্রতিদিন নিয়মিত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি, কিন্তু জনবল সংকটের কারণে কাংখিত সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তবে প্রয়োজনীয় জনবলের জন্য কতৃপক্ষের কাছে চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে।
যানজট নিরসনে দ্রুত কার্যকর প্রদক্ষেপ গ্রহণ করার দাবী জানিয়েছেন জনসাধারণ। তাছাড়া করোনার কারণে এখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। সংকট বিদ্যমান অবস্থায় শিক্ষা কার্যক্রম চালু হলে উপজেলার কয়েক লাখ জনসাধারণ ও হাসপাতালগামী রোগীর পাশাপাশি শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হাজার হাজার শিক্ষার্থীকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হবে বলে মনে করেন লোহাগাড়ার সচেতন মহল।