মোঃ মনিরুজ্জামান অপূর্ব, ঢাকা:
শিল্প বেঁচে থাকে শিল্পীর নিখুঁত কর্মের মাঝে। প্রত্যেক শিল্পই তার আপন গুনে সমৃদ্ধ হয় শিল্পীর কুশলী কর্মের গুনে। হিপহপ যুগেও আমাদের মিডিয়া জগতে দু’ একজন ক্ল্যাসিক শিল্পীর আগমন ঘটে, কিন্তু তা চোখে পড়ার মতো নয়।
ভালোলাগা থেকে ভালবাসা। স্বপ্ন নিয়ে বেঁচে থাকাটাই গুনী মানুষের ধর্ম। বর্তমান মিডিয়া জগৎ উম্মুক্ত পথ চলার স্রোতা গা- ভাসিয়ে দিয়ে নয়, কাজের প্রতি একান্ত নিষ্ঠা ও কঠোর শ্রমের ঐকান্তিক চেষ্টায় মেলে সফলতা। মফস্বল থেকে রাজধানীতে এসে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে প্রত্যেকেরই দিগুন বেগ পেতে হয়। ইসরাত জাহান পলি তেমনি কষ্ট সহিষ্ণু ও কর্মনিষ্ঠ, মিডিয়াপ্রেমী একজন তারকা হতে চান। চলুন দেখা যাক তার ব্যক্তিগত কিছু খোঁজ খবর ও ক্যারিয়ার নিয়ে কি লেখা আছে।
যদি লক্ষ্য অটুট আর উদ্যম থাকে জীবনের স্বপ্নগুলোকে পাখা মেলে ধরতে তবে শত বাধা ও পিছুটান হয়ে থাকতে পারবে না। আর এই কথাটাই প্রমাণ করতে চান বরিশাল বানাড়ীপাড়ার মেয়ে নবাগত মডেল ও অভিনেত্রী ইসরাত জাহান পলি। শত কাঠগড় পুড়িয়ে চোখে হাজারো স্বপ্ন নিয়ে মডেল ও অভিনেত্রী হতে চান এই তারকা। ছোট বেলা থেকেই স্বপ্নের জাল বুনেছেন তিনি এই মিডিয়া অঙ্গনে কিছু একটা করার। বরিশাল থেকে ঢাকায় আসা ও মিডিয়া জগতে যখন কিছু একটা প্রস্তুতি শুরু হয়, ঠিক তখনই প্রথম স্বপ্নের ট্রেনটা থেমে যায়। পারিবারিক চাপের কারণেই আর ঢাকায় আসা হলো না পলির। অপেক্ষার প্রহর গুনতে থাকেন কোন সুযোগের। তবে পারিবারিক বাধাটাই ছিল তার বেশি। বিশেষ করে তার বাবা ও মা কখনই চাইতেন না সে মিডিয়াতে কাজ করুক, আর এই সব ব্যাপারে সাপোর্ট করতে না। তবে হ্যা, তার চাচা আজও তাকে সাপোর্ট করছেন যাতে সে মিডিয়া অঙ্গনে কাজ করে, মিডিয়াতে বড় কিছু হয়। তার স্বপ্নটিকে আজও বুকে লালন করে রেখেছেন সে একদিন বড় মাপের মডেল অভিনেত্রী হবে। অপেক্ষার প্রহর গুনতে কোনো সুযোগের। এই গল্পটা বলতে অনেকটা আবেগ প্রবন হয়ে যান পলি। সে নিজেকে মডেল ও বাংলা চলচ্চিত্রের নক্ষত্র হিসেবে দেখতে চান। যেই নক্ষত্র কখনও ঝড়ে পড়বে না। শাবানা, ববিতার মত একটা ইমেজ তৈরি করতে চান টিভি ও চলচ্চিত্র অঙ্গনে। আর সে ট্রেনটি ইতোমধ্যে শুরু করে দিয়েছে সেই লক্ষ্যে পৌছাবার যাত্রা। ভবিষ্যতে মডেল অভিনেত্রী হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেতে চান এই নবাগত তারকা ইসরাত জাহান পলি।