কাইছার ইকবাল চৌধুরী, বঙ্গনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমঃ
সারাদেশে ১ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য জুনিয়র দাখিল পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ৮ জন শিক্ষার্থীর পরীক্ষায় অংশগ্রহণ অনিশ্চিত বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার অভিবাবকরা।
চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার চরম্বা জামেউল উলুম মাদ্রাসার সুপার ও সহ-সুপারের অবহেলায় শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারছে না বলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। উল্লেখীত শিক্ষার্থীরা আবদুল্লাহ হির হান্নান, সাকিব হোসেন রিফাত, তাছলিমা আক্তার, তাছমিন আক্তার, সাবিনা ইযাছমিন, আমেনা আক্তার তাশরিন, হাসনাত হোসেন সামী ও সাহাব উদ্দিন।
মাদ্রাসার সহ-সুপার সামশুল আলম হেলালীর কাছে এ বিষয়ে জানাতে চাইলে তিনি বঙ্গনিউজ টোয়েন্টিফোরকে বলেন, রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। মাদ্রাসা বোর্ডে এ ব্যাপারে কার্যক্রম গ্রহণের জন্য প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী মো. ওসমান ঢাকায় অবস্থান করছেন।
ঘটনার বিবরণ ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, লোহাগাড়ার চরম্বা দারুল কোরআন দাখিল মাদ্রাসাটি মাদ্রাসা বোর্ড কর্তৃক জেডিসি পরীক্ষা দেয়ার অনুমতি না থাকায় প্রতি বছরের ন্যায় ৮ম শ্রেণীর ১০ জন শিক্ষার্থীর জেডিসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য পার্শ্ববর্তী প্রতিষ্ঠান চরম্বা জামেউল উলুম ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার মাওলানা আবুল কাশেম ও সহ-সুপার সামশুল আলম হেলালীকে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি রশিদের মাধ্যমে টাকা প্রদান করেন। তবে ১০ জন শিক্ষার্থীর রেজিস্ট্রেশন হলেও ২ জন বাদে ৮ জন শিক্ষার্থীর ফরম ফিলআপ হয়নি।
সুপার ও সহ-সুপারের অবহেলায় এজন্য দায়ী বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। দারুল কোরআন দাখিল মাদ্রাসার সুপার আবু তাহের বিষয়টি লিখিতভাবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে গত ১৯ আগস্ট জানিয়েছেন। লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু আসলাম বঙ্গনিউজ টোয়েন্টিফোরকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা অভিযোগ পাওয়ার পর চরম্বা জামেউল উলুম দাখিল মাদ্রাসার সুপার ও সহ-সুপারকে স্বশরীরে উপস্থিত ফরম ফিলাপ না করার বিষয়টির ব্যাখ্যা দিতে বলেন। কিন্তু তারা গড়িমসি করে উপস্থিত হননি।
এদিকে ৮ জন পরীক্ষার্থীর অভিভাবকরা পরীক্ষা অনিশ্চিতের বিষয়টি জানার পর হতাশায় ভুগছেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। তারা আশংকা প্রকাশ করেছেন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে না পারলে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের জীবনে মারাত্মক ব্যঘাত ঘটতে পারে। সময় থাকতে তাদের পরীক্ষার বিষয়টি সুরহা করার জন্য সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আরো জানান, পরিস্থিতি সামাল দিতে দায়ী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।