ক্রীড়া প্রতিবেদক, বঙ্গনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম.
শনিবার ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনাল ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৭৯ রানে হেরে গেল বাংলাদেশ। এদিন শ্রীলঙ্কার দেয়া ২২২ রানের জয়ের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ৪১.১ ওভারে ১৪২ রান সংগ্রহ করে অলআউট হয় বাংলাদেশ। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৭৬ রান করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২২ রান করেন মুশফিকুর রহিম। শ্রীলঙ্কার পক্ষে দুশমান্থ চামিরা ২টি, শিহান মাদুশানকা ৩টি ও আকিলা ধনঞ্জয়া ২টি করে উইকেট নেন।
আজ নয় উইকেট নিয়ে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। তার মধ্যে শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়। বাংলাদেশ ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ১১ রানে প্রথম উইকেট হারায়। তামিমের ব্যাট থেকে এসেছে তিন রান। দলীয় ১৭ রানে রান আউট হন মোহাম্মদ মিঠুন। ২৭ বল খেলে ১০ রান করেন তিনি। ইনিংসের দশম ওভারে দুশমান্থ চামিরার বলে আসেলা গুনারত্নের হাতে ক্যাচ হন সাব্বির রহমান।
দলীয় ২২ রানে তিন উইকেট হারানোর পর মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছিল বাংলাদেশ। এই জুটিতে স্বপ্ন দেখছিল টাইগাররা। কিন্তু সেটি বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। দলীয় ৮০ রানে আকিলা ধনঞ্জয়ার বলে উপুল থারাঙ্গার হাতে ক্যাচ হন মুশফিকুর রহিম। এরপর দলীয় ৯০ রানে বোলার আকিলা ধনঞ্জয়ার হাতে ধরা পড়েন মেহেদী হাসান মিরাজ। ৩৭তম ওভারে রান আউট হন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। ৪০তম ওভারের পঞ্চম ও ষষ্ঠ বলে যথাক্রমে মাশরাফি বিন মুর্তজা ও রুবেল হোসেনকে সাজঘরে ফেরান শিহান মাদুশানকা। ৪২তম ওভারে আবার বোলিংয়ে আসেন তিনি। ওভারে প্রথম বলেই মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে সাজঘরে ফিরিয়ে দেন। যার ফলে হ্যাটট্রিক করার গৌরব অর্জন করেন তিনি।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ২২১ রান সংগ্রহ করে অলআউট হয়ে যায় শ্রীলঙ্কা। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৬ রান করেন উপুল থারাঙ্গা। এছাড়া দিনেশ চান্দিমাল করেন ৪৫ রান। নিরোশান ডিকওয়েলা করেন ৪২ রান। বাংলাদেশের পক্ষে রুবেল হোসেন ১০ ওভার বল করে ৪৬ রান দিয়ে চারটি উইকেট নেন। ১০ ওভার বল করে ২৯ রান দিয়ে দুইটি উইকেট নেন মোস্তাফিজুর রহমান। এছাড়া মাশরাফি বিন মুর্তজা ১টি, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ১টি ও মেহেদী হাসান মিরাজ ১টি করে উইকেট নেন।