বঙ্গনিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক:
দেশের সব সরকারি-বেসরকারি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন শুরু হল রোববার। আবেদন করা যাবে ২৪ মে পর্যন্ত। আগামী ১ জুলাই থেকে ক্লাস শুরু হবে। ভর্তির জন্য অনলাইনে আবেদন করতে হবে www.xiclassadmission.gov.bd ঠিকানায়। টেলিটকের মাধ্যামে মোবাইলের এসএমএসেও আবেদন করা যাবে।
এদিকে, এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফলে গতবারের তুলনায় চট্টগ্রামে এবার গড় পাসের হার কমেছে ৮.৪৯ শতাংশ। পাসের হার ও জিপিএ–৫ প্রাপ্তির সংখ্যা কমলেও কলেজে ভর্তির দুশ্চিন্তা কিন্তু কমছেনা। আগের মতোই ‘ভালো’ কলেজে ভর্তির দুশ্চিন্তা থেকেই যাচ্ছে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের মনে।
অবশ্য, বরাবরের মতোই যত টেনশান বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের ঘিরে। এর কারণও রয়েছে। প্রথম সারির কলেজগুলোতে বিজ্ঞানে অপ্রতুল আসন সংখ্যার বিপরীতে কয়েকগুণ বেশি সংখ্যক শিক্ষার্থীর জিপিএ–৫ পাওয়ার কারণেই এ বিভাগে ভর্তিতে প্রতিযোগিতাটা বেশি। ফলে স্বাভাবিক ভাবে দুশ্চিন্তাটাও বেশি।
তবে অন্য দুই শাখার (মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা) শিক্ষার্থীরা এক্ষেত্রে অনেকটা নির্ভর। কারণ, এই দুই শাখার খুব কম সংখ্যক শিক্ষার্থী জিপিএ–৫ পেয়ে থাকে।
তাছাড়া মহানগরীর প্রথম সারির কলেজগুলোতে এই দুই শাখার আসন সংখ্যাও তুলনামূলক বেশি। ফলে মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখার শিক্ষার্থীদের প্রথম সারির কলেজগুলোতে ভর্তির ক্ষেত্রে তেমন বেগ পেতে হয়না বললেই চলে। প্রতিবারই এমনটি ঘটে আসছে। ব্যতিক্রম নয় এবারও।
গত ৬ মে প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যায়– এসএসসিতে এবার মোট জিপিএ–৫ ধারীর সংখ্যা ৮ হাজার ৯৪ জন। কিন্তু এর সিংহ ভাগই (৭ হাজার ২৮৫ জনই) বিজ্ঞানের শিক্ষার্থী। বাকি দুই শাখায় জিপিএ–৫ ধারীর সংখ্যা মাত্র ৮০৯ (মানবিকে ২৬, ব্যবসায় শিক্ষায় ৭৮৩)।
কিন্তু চট্টগ্রাম নগরীর সাতটি সরকারি কলেজে বিজ্ঞান বিভাগের আসন রয়েছে ২ হাজার ৮৮২টি। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন, ক্যান্টনম্যান্ট পাবলিক কলেজ, নৌ-বাহিনী কলেজ, বিএফ শাহীন কলেজ, ইস্পাহানি পাবলিক কলেজ এবং আরও কয়েকটি নামকরা কলেজ মিলিয়ে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ৪ হাজার শিক্ষার্থী ভাল কলেজে ভর্তির সুযোগ পাবে।
ফলে জিপিএ-৫ পেয়েও স্বস্তিতে নেই হাজার হাজার শিক্ষার্থী। ভাল কলেজে ভর্তির টেনশন ভর করেছে তাদের মাথায়। তবে এ অবস্থা থেকে উত্তরণের উপায়ও খুঁজছেন তারা। কারণ আগামীর স্বপ্ন বাস্তবায়নে তাদের বিজ্ঞান বিভাগেই পড়তে হবে।
বিজ্ঞানে পড়ার ধারা অব্যাহত রাখতে সরকারি কলেজে ভর্তির সুযোগ না পেলে বিশেষায়িত এবং ভাল মানের বেসরকারি কলেজে পড়ার পরামর্শ দিয়েছেন শিক্ষাবিদরা। তারা বলছেন, সরকারি কলেজের পাশাপাশি অনেক বেসরকারি এবং বিশেষায়িত কলেজও ভাল করছে। সেখানে পড়ে ভাল ফলাফল করার সুযোগ রয়েছে।
শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কলেজে পড়ার ক্ষেত্রে বিশেষ করে বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের পছন্দ চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ ও হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজ। এ দুটোতে সুযোগ না পেলে ক্রমান্বয়ে অন্য কলেজ পছন্দ করেন। তবে অনেক শিক্ষার্থী ও অভিভাবক বেসরকারি কলেজে পড়তেই বেশ আগ্রহি।
কারণ হিসেবে তারা বলছেন, এখন বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষায় বিশেষায়িত কলেজগুলো বেশ ভাল করছে। এছাড়া কলেজগুলোতে নিয়ম-শৃঙ্খলার মধ্যে পড়া-লেখা করতে হয়।
এদিকে, বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষায়িত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে সুপরিচিত চট্টগ্রাম বিজ্ঞান কলেজ। ২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে কলেজটি বিজ্ঞান শিক্ষায় ধারাবাহিক সাফল্যের স্বাক্ষর রেখেই চলেছে। চট্টগ্রাম বিজ্ঞান কলেজ সর্ম্পকে বিস্তারিত জানতে এখনে ক্লিক করুন ।
বিষয়টি স্বীকার করে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের কলেজ পরিদর্শক প্রফেসর জাহেদুল হক বলেন, মহানগরের সরকারি কলেজগুলোর মোট আসন সংখ্যার তুলনায় জিপিএ–৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা কয়েকগুণ বেশি। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই সর্বোচ্চ জিপিএ প্রাপ্ত সব শিক্ষার্থী তাদের প্রত্যাশিত কলেজে ভর্তির সুযোগ পাবেনা। এক্ষেত্রে তাদের বেসরকারি কোন কলেজ (এমপিওভুক্ত বা সিটিকর্পোরেশনের অধিভুক্ত) বেছে নিতে হবে। নয়তো শহরের বাইরে সরকারি কোন কলেজ খুঁজে নিতে হবে।
তবে সামগ্রিকভাবে আসন সংকট হবেনা বলে জানিয়ে কলেজ পরিদর্শক বলেন, বোর্ড অনুমোদিত চট্টগ্রামে ২৫০টির বেশি কলেজ রয়েছে। এসব কলেজে আসন সংখ্যা ১ লাখ ৩৬ হাজারেরও বেশি। আর এবার এসএসসি পাস করেছে মোট ১ লাখ ২ হাজার ৩৭ জন। যা মোট আসন সংখ্যার তুলনায় কম। তবে মাদ্রাসা ও কারিগরির অনেক শিক্ষার্থী প্রতি বছর কলেজে ভর্তি হয়। এরপরও সামগ্রিক ভাবে আসন সংকট হবে না। সব শিক্ষার্থীই কলেজে ভর্তির সুযোগ পাবে বলে দাবি করেন বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক হিসেবে নতুন দায়িত্ব নেয়া প্রফেসর জাহেদুল হক।
সোহাইফা রহমান, নগরীর ডা. খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এবার জিপিএ–৫ পেয়েছে। কিন্তু জিপিএ–৫ পেলেও মেয়ের ভালো কলেজে ভর্তি নিয়ে দুশ্চিন্তায় তার বাবা ব্যবসায়ী মাহাবুবুর রহমান। মোমিন রোডের বাসিন্দা এই অভিভাবক বলেন– মেয়ে জিপিএ–৫ পেয়েছে। কিন্তু ভালো কলেজে ভর্তি নিয়ে সংশয়ে আছি। কারণ, বিজ্ঞানে আসন সংখ্যা খুবই কম। আর জিপিএ–৫ পাওয়া ছাত্র–ছাত্রীর সংখ্যা অনেক বেশি। তাই মেয়ের ভর্তি নিয়ে দুশ্চিন্তা একটু বেশি। এই সংকট থেকে উত্তোরণে নতুন করে আরো সরকারি কলেজ প্রতিষ্ঠা এবং বিদ্যমান সরকারি কলেজগুলোতে আসন সংখ্যা বাড়ানোর দাবিও জানান এই অভিভাবক।
চট্টগ্রাম বিজ্ঞান কলেজের ওয়েবসাইট ভিজিট করে দেখা যায়, সরকারি বিধি অনুসরণ করে চট্টগ্রাম বিজ্ঞান কলেজে এইচএসসিতে ভর্তি কার্যক্রম চলছে। তবে এতে এ+ পাওয়া শিক্ষার্থীদের সরাসরি ভর্তির বিশেষ ব্যবস্থা যেমন রয়েছে; তেমনি এ+ না পাওয়া শিক্ষার্থীদের জন্যও সংরক্ষিত আসনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম বিজ্ঞান কলেজের অধ্যক্ষ ড. জাহিদ খান বলেন, সরকারি কলেজগুলোতে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের প্রত্যাশা বেশি থাকে। কিন্তু আসন সংখ্যা সীমিত হওয়ায় বঞ্চিত শিক্ষার্থীরা মনক্ষুণ হয়। কিন্তু একজন অভিভাবক হিসেবেই বলছি-এতে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। এসব নামী কলেজের বাইরেও ভালো কলেজ আছে এবং সেখান থেকে ভালো ফলাফল করা যায়।
তিনি আরও বলেন, ট্রাস্টের মাধ্যমে গরীব ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে চট্টগ্রাম বিজ্ঞান কলেজে। প্রতি বছর অসংখ্য অস্বচ্ছল মেধাবী শিক্ষার্থীদের জেএফ ট্রাস্টের সহযোগিতায় পড়াশুনার দায়িত্ব নিয়ে থাকে তারা ।
এছাড়া অদম্য মেধাবীদের জন্যও রয়েছে বিশেষ স্কলারশিপের ব্যবস্থা। অদম্য মেধাবীদের জন্য রয়েছে স¤পূর্ণ বিনামূল্যে হোস্টেল সুবিধাসহ পড়ালেখার সুযোগ। মেয়েদের জন্য রয়েছে আলাদা ক্যা¤পাস, সংরক্ষিত ২৫০ আসনসহ মেয়েদের জন্য রয়েছে আলাদা সুযোগ-সুবিধা।
চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের কলেজ শাখা সূত্রে জানা যায়, বোর্ড অনুমোদিত চট্টগ্রামে ২৬০টি কলেজ রয়েছে। তবে এর মধ্যে গতকাল পর্যন্ত ২৫০টি কলেজে (সরকারি–বেসরকারি) শিক্ষার্থী ভর্তির প্রক্রিয়া শুরুর তথ্য পাওয়া গেছে। পাঠদানের অনুমতির সময়সীমা উত্তীর্ণের পর নতুন করে অনুমতি না নেয়ায় বেশ কয়টি কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তি প্রক্রিয়া আপাতত স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বোর্ড কর্তৃপক্ষ।
এদিকে, ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হতে যাওয়া ২৫০টি কলেজের মধ্যে সরকারি কলেজের সংখ্যা ২২টি। আর বাকি ২২৮টি বেসরকারি (এমপিওভুক্ত, সিটিকর্পোরেশন অধিভুক্ত ও এমপিও বর্হিভূত)। সব মিলিয়ে এসব কলেজে মোট আসন সংখ্যা ১ লাখ ৩৬ হাজারের কিছু বেশি।
এর মধ্যে বিজ্ঞানে প্রায় ৩১ হাজার, মানবিকে ৪৭ হাজারের কিছু কম–বেশি এবং ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় সর্বোচ্চ ৫৮ হাজারের কিছু কম–বেশি আসন রয়েছে। আর গত রোববার (৬ মে) প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যায়– এবারের এসএসসি পরীক্ষায় মোট পাস করেছে ১ লাখ ২ হাজার ৩৭ শিক্ষার্থী। এর মধ্যে বিজ্ঞান থেকে অংশ নেয় ৩০ হাজার ৭৮৫ জন। এর মধ্যে ২৭ হাজার ৭০৮ জন শিক্ষার্থী পাস করেছে। ব্যবসায় শিক্ষা শাখা থেকে মোট ৬১ হাজার ৮০১ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করে ৪৮ হাজার ৭৩৭ শিক্ষার্থী। আর মানবিকের ৪২ হাজার ৫৬২ পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ২৫ হাজার ৫৯২ জন।
সরকারি ২২টি কলেজের আসন সংখ্যা : চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের অধীনে মহানগরসহ বৃহত্তর চট্টগ্রামে মোট ২২টি সরকারি কলেজ রয়েছে। গতবছরের ২১টির সাথে এবার চট্টগ্রাম মডেল স্কুল এন্ড কলেজ যুক্ত হয়ে এ সংখ্যা ২২টিতে দাঁড়িয়েছে। এই ২২টি সরকারি কলেজে তিন বিভাগে (বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা) মোট আসন রয়েছে ২০ হাজার ৪৬৭টি। এর মধ্যে বিজ্ঞানে আসন সংখ্যা ৫ হাজার ৬৯৫। ব্যবসায় শিক্ষায় ৮ হাজার ৭৬ এবং মানবিকে ৬ হাজার ৬৯৬টি।
মহানগরীর চিত্র : মহানগরীতে গতবার সরকারি কলেজ ৭টি থাকলেও এবার আরো একটি কলেজ (চট্টগ্রাম মডেল স্কুল এন্ড কলেজ) যুক্ত হয়েছে। এতে মহানগরে সরকারি কলেজের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮টিতে। ৮টি সরকারি কলেজে এবার মোট আসন সংখ্যা ৮ হাজার ৩৫৭টি। এর মধ্যে বিজ্ঞানে ২ হাজার ৮৮২, ব্যবসায় শিক্ষায় ৩ হাজার ৪৫৫ ও মানবিকে ২ হাজার ২০ জন শিক্ষার্থী মহানগরীর এসব সরকারি কলেজে ভর্তির সুযোগ পাবে।
প্রথম সারির কলেজগুলোতে আসনের চিত্র : শিক্ষাবোর্ডের তথ্যমতে– চট্টগ্রাম কলেজে একাদশ শ্রেণির মোট আসন সংখ্যা ৮৫০। এর মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগে ৫৫০ এবং মানবিকে ৩০০ শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ রয়েছে। সরকারি মহসিন কলেজে মোট আসন রয়েছে ১ হাজার ৬২০। এর মধ্যে বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষায় ৫৮৫ করে এবং মানবিকে ৪৫০ জন শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পাবে। সরকারি সিটি কলেজে দুটি শাখায় (দিবা ও বৈকালিক) মোট আসন রয়েছে ১৯১২টি। এর মধ্যে ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে দিবা ও বৈকালিক শাখায় মোট ৭৩০ শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পাবে। দিবা ও বৈকালিক শাখায় ৩০০ করে মানবিক বিভাগে মোট আসন সংখ্যা ৬০০। অন্যদিকে, বিজ্ঞান বিভাগের একটি শাখায় (দিবা শাখায়) ভর্তির সুযোগ পাবে ৫৮২ শিক্ষার্থী। কলেজটির বৈকালিক শাখায় বিজ্ঞান বিভাগের কার্যক্রম চালু নেই। সরকারি কলজিয়েট স্কুল এন্ড কলেজে বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় ৮০টি করে মোট ১৬০টি আসন রয়েছে। এদিকে, চট্টগ্রামের একমাত্র সরকারি মহিলা কলেজে বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক, ২০১৫ সাল পর্যন্ত এই তিন বিভাগের প্রতিটিতে ৩০০ করে মোট ৯০০ ছাত্রী ভর্তির সুযোগ পেতো। তবে ২০১৬ সালে বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় ১৫০ করে আসনের নতুন সেকশান খোলা হয়। এতে করে ২০১৬ সাল থেকে আরো তিনশ ছাত্রী বেশি ভর্তির সুযোগ পাচ্ছে কলেজটিতে। এর বাইরে অন্য চারটি সরকারি কলেজেও বিজ্ঞান শাখায় ২০টি করে আসন বাড়ানো হয় ওই বছর। ৫০টি বাড়িয়ে সরকারি কমার্স কলেজের (শুধু ব্যবসায় শিক্ষা) আসন সংখ্যাও ৮৫০ টি করা হয়। আর ২০১৬ সালে যুক্ত হওয়া বাকলিয়া সরকারি কলেজে বিজ্ঞানে ২৬০, মানবিকে ২২০ এবং ব্যবসায় শিক্ষায় ৫১০ জন শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পাবে এবার। এছাড়া নতুন যুক্ত হতে যাওয়া চট্টগ্রাম মডেল স্কুল এন্ড কলেজে বিজ্ঞানে ৩৭৫, ব্যবসায় শিক্ষায় ২৫০ ও মানবিকে ১৫০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে এবার।
বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী– চট্টগ্রাম মহানগরে অনুমোদিত কলেজের সংখ্যা প্রায় ৮০টি। এর মধ্যে সরকারি ৮টি ও সিটিকর্পোরেশনের অধীন ২২টি ছাড়া বাকি ৫০টি (প্রায়) কলেজ বেসরকারি (এমপিওভুক্ত ও এমপিওবিহীন)। সিটিকর্পোরেশনের অধিভুক্ত কলেজগুলোতে মোট আসন সংখ্যা সব মিলিয়ে ১০ হাজারের কিছু কম–বেশি। আর মহানগরের অন্য বেসরকারি কলেজগুলিতে তিন শাখায় প্রায় ৩০ হাজার শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পাবে।
এদিকে প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যায়– ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে ৭৮৩ জন ও মানবিক বিভাগে মাত্র ২৬ জন শিক্ষার্থী এবার জিপিএ–৫ পেয়েছে। মহানগরীর সরকারি কলেজগুলোতে ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে মোট আসন সংখ্যা ৩ হাজার ৪৫৫টি। আর ২ হাজার ২০ জন শিক্ষার্থী মানবিকে ভর্তির সুযোগ পাবে। সে হিসেবে প্রথম সারির কলেজে ভর্তি নিয়ে বিভাগ দুটির শিক্ষার্থীদের তেমন দুশ্চিন্তা নেই বললেই চলে। কারণ, বিভাগ দুটির জিপিএ–৫ ধারী ছাড়াও আরো কম পয়েন্ট ধারী অনেক শিক্ষার্থী মহানগরীর সরকারি কলেজগুলোতে ভর্তির সুযোগ পাবে।
উল্লেখ্য, আগামী ১৩ মে থেকে একাদশে ভর্তিতে অনলাইনে আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। ২৪ মে পর্যন্ত আবেদন করার সুযোগ পাবে ভর্তিচ্ছুরা। আবেদন প্রক্রিয়া শেষে প্রথম মেধা তালিকা প্রকাশ করা হবে ১০ জুন।