নিউজ ডেস্ক, বঙ্গনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম.
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের মধ্যে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় সংঘর্ষে নয় কর্মী আহত হয়েছে। আহতরা হলেন শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি তরিকুল ইসলামের কর্মী নাভিদ, মিরাজ, কবির, তরিকুল ও লিমন।
জানা যায়, সোমবার দুপুরে প্রশাসনিক ভবনের সামনে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি তরিকুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক শেখ জয়নাল আবেদিন রাসেলের কর্মীদের কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের প্রত্যক্ষ হস্তক্ষেপে ঘটনার মিমাংসা হয়। পরবর্তীতে বিকালে ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ক্যাম্পাস থেকে বের হয়ে যাওয়ার সাথে সাথেই সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের কর্মীরা সভাপতি গ্রুপের কর্মীদের হামলা করেন। পরবর্তীতে জবি প্রক্টরিয়াল বডির হস্তক্ষেপে এবং ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হলে তাৎক্ষণিক পরিস্তিতি শান্ত হয়।
পরে সন্ধ্যার দিকে আবার তরিকুল ইসলামের কর্মীরা লোহার রোড, চাপাতি, রাম দা দিয়ে মহড়া দিতে থাকে। এতে উভয় গ্রুপের পাঁচ ছাত্রলীগ কর্মী আহত হন। আহতদের সুমনা মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে সংঘর্ষের ঘটনায় পেশাগত কারণে সংবাদ সংগ্রহের সময় শাখা ছাত্রলীগের কর্মী তরিকুল ইসলামের কর্মী তানভীর চৌধুরী শাকিল ওরফে মশাল শাকিল জাতীয় দৈনিকের সাংবাদিক আহসান জুবাইরের মুঠোফোন কেড়ে নেয়। উপস্থিত সিনিয়র কর্মীদের হস্তক্ষেপে মোবাইল ফেরত দিলেও পরবর্তীতে জবি সাংবাদিক সমিতির বারান্দায় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ জয়নুল আবেদীন রাসেলের কাছে ঘটনা সম্পর্কে জানতে মুঠোফোনে কথা বলার সময় আবারও মশাল শাকিল মোবাইল কেড়ে নিয়ে যায়। এবং সাংবাদিক সমিতি থেকে বের হলে তাকে চাপাতি দিয়ে কোপানোর হুমকি দেয়।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি তরিকুল ইসলামের কাছে ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি মারামারির ঘটনা সম্পর্কে সঠিক জানেন না বলে জানান।
সাংবাদিকের হাত থেকে মোবাইল কেড়ে নিয়ে যাওয়া ও কোপানোর হুমকি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি ঘটনা জেনে ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রফেসর ড. নুর মোহাম্মদ বলেন, ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা হয়েছে। কিন্তু তেমন কিছু ঘটেনি। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ছাত্রলীগের কেন্দ্রিয় সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ এ বিষয়ে জানান, ঘটনায় জড়িতদের অবিলম্বে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সূত্র:শীর্ষ নিউজ